ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের নগরকান্দায় যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) গৃহবধূ রুমার মরদেহ তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নগরকান্দা থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে নিহতের বাবা সোহরাব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ রুমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত রুমার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিগত চার বছর আগে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার কাদিরপুর গ্রামের সোহরাব মাতুব্বরের মেয়ে রুমা আক্তারের বিয়ে হয় ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার বিলনালিয়া গ্রামের শওকত মোল্যার সাথে। বিয়ের পর স্বামী শওকত মোল্যা বিদেশ চলে যায়। এরপর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন রুমাকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য রুমাকে চাপ দেওয়া হয়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ধার দেনা করে কয়েক লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয় শওকতের পরিবারকে।
দুই মাস আগে সৌদি আবর থেকে স্বামী শওকত দেশে ফিরে আসে। দেশে ফিরে এসে আবার যৌতুকের জন্য রুমা ও তার পরিবারকে চাপ দিতে থাকে। বাড়ি করার জন্য শওকতকে আরও টাকা দেওয়া হয়। দুইদিন আগে রুমা ফোন করে জানায়, তাকে মারপিট করা হচ্ছে।
নিহত রুমার বাবা সোহরাব মাতুব্বর জানান, রুমার স্বামী বিদেশে যাবার সময় বেশকিছু টাকা দেওয়া হয়। পরবর্তীকে কয়েক দফায় টাকা দেওয়া হয়। সৌদি আবর থেকে দেশে ফেরার পর বাড়ি করার কথা বলে শওকত আরও টাকা নেয়। কয়েকদিন আগে শওকত আবারও টাকা চায়। টাকা না দিতে পারায় সে আমার মেয়েকে মারপিট করে। আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে মারপিটের কথা জানায়। সোমবার সকালে রুমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফোন করে জানায় রুমা মারা গেছে। আমরা রুমার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাইনি। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে। আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে রুমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নগরকান্দা থানার ওসি শেখ মো. সোহেল রানা বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূ রুমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাবার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।